বর্তমান শতাব্দীর বহুল আলোচিত ও সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানের শাখা হলো জেনেটিক্স। বর্তমানে এই বিজ্ঞান আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।নিচে মানবকল্যাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেনেটিক্স এর প্রয়োগ উল্লেখ করা হলো:
1. অধিক খাদ্য উৎপাদনে জেনেটিক্স: উদ্ভিদ ও প্রাণী ব্রিডারগণ জেনেটিক্স এর নিয়ম নীতি ব্যবহার করে উদ্ভিদ ও গৃহপালিত পশু পাখির উন্নতি সাধন করেছেন। ফলে উচ্চফলনশীল খাদ্যশস্য, অধিক পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন, যেমন- মাংস, ডিম, দুধ, মাছ ইত্যাদি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।খাদ্য সমস্যা সমাধানে জেনেটিক্স এর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় দিক।
2. চিকিৎসা ক্ষেত্রে জেনেটিক্স : চিকিৎসা ক্ষেত্রে জেনেটিক্স এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। ক্ষতিকারক বা ত্রুটিপূর্ন জিন অপসারণ করে স্বাভাবিক জিন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, যা এখন জিন থেরাপি নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, হিমোফিলিয়া ইত্যাদি জেনেটিক রোগ চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রাথমিক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনসুলিন এবং বিভিন্ন প্রকার বৃদ্ধি হরমোন উৎপাদন করা হচ্ছে যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বংশগতির সূত্র ব্যবহার করে বংশ লতিকা তথা পেডিগ্রি বিশ্লেষণ সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা রোগ নির্ণয়ে জেনেটিক্স ব্যবহৃত হচ্ছে।
3. অপরাধী শনাক্তকরণে জেনেটিক্স: অপরাধী শনাক্তকরণে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা প্রোফাইলিং জেনেটিক্স এক নব সংযোজন। 1986 খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার আলেক জ্যাফরীস এটি আবিষ্কার করেন। অপরাধী শনাক্তকরণে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং একটি উত্তম উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অপরাধ সংগঠনের স্থান হতে নমুনা যেমন- রক্ত, বীর্য, ত্বক, চুল ইত্যাদি সংগ্রহ করে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এর মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হচ্ছে।
4. পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে জেনেটিক্স: সন্তানের বিতর্কিত পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নির্ণয়ে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং একটি উত্তম পন্থা। এ ক্ষেত্রে বিতর্কিত পিতা বা মাতার এবং সন্তানের ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এর মাধ্যমে প্রকৃত পরিচয় নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে।
5. মৃতের পরিচয় শনাক্তকরণে জেনেটিক্স: বেওয়ারিশ হিসেবে সমাধিস্থ হবার দীর্ঘদিন পর মৃতের অস্তির জেনেটিক্স পরীক্ষা করে তার পারিবারিক সূত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
6. জেনেটিক্স এবং ইউজেনেটিক্স: মানুষের বংশগতির ধারা আলোচনা-পর্যালোচনা পূর্বক নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রজনন ঘটিয়ে বিদ্যমান মানব গোষ্ঠীর উৎকর্ষ বৃদ্ধি করা সম্ভব। মানবজাতির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির পদ্ধতিকে ইউজেনেটিক্স বলা হয়।
1. অধিক খাদ্য উৎপাদনে জেনেটিক্স: উদ্ভিদ ও প্রাণী ব্রিডারগণ জেনেটিক্স এর নিয়ম নীতি ব্যবহার করে উদ্ভিদ ও গৃহপালিত পশু পাখির উন্নতি সাধন করেছেন। ফলে উচ্চফলনশীল খাদ্যশস্য, অধিক পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন, যেমন- মাংস, ডিম, দুধ, মাছ ইত্যাদি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।খাদ্য সমস্যা সমাধানে জেনেটিক্স এর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় দিক।
2. চিকিৎসা ক্ষেত্রে জেনেটিক্স : চিকিৎসা ক্ষেত্রে জেনেটিক্স এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। ক্ষতিকারক বা ত্রুটিপূর্ন জিন অপসারণ করে স্বাভাবিক জিন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, যা এখন জিন থেরাপি নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, হিমোফিলিয়া ইত্যাদি জেনেটিক রোগ চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রাথমিক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনসুলিন এবং বিভিন্ন প্রকার বৃদ্ধি হরমোন উৎপাদন করা হচ্ছে যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বংশগতির সূত্র ব্যবহার করে বংশ লতিকা তথা পেডিগ্রি বিশ্লেষণ সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা রোগ নির্ণয়ে জেনেটিক্স ব্যবহৃত হচ্ছে।
3. অপরাধী শনাক্তকরণে জেনেটিক্স: অপরাধী শনাক্তকরণে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা প্রোফাইলিং জেনেটিক্স এক নব সংযোজন। 1986 খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার আলেক জ্যাফরীস এটি আবিষ্কার করেন। অপরাধী শনাক্তকরণে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং একটি উত্তম উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অপরাধ সংগঠনের স্থান হতে নমুনা যেমন- রক্ত, বীর্য, ত্বক, চুল ইত্যাদি সংগ্রহ করে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এর মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হচ্ছে।
4. পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে জেনেটিক্স: সন্তানের বিতর্কিত পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নির্ণয়ে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং একটি উত্তম পন্থা। এ ক্ষেত্রে বিতর্কিত পিতা বা মাতার এবং সন্তানের ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এর মাধ্যমে প্রকৃত পরিচয় নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে।
5. মৃতের পরিচয় শনাক্তকরণে জেনেটিক্স: বেওয়ারিশ হিসেবে সমাধিস্থ হবার দীর্ঘদিন পর মৃতের অস্তির জেনেটিক্স পরীক্ষা করে তার পারিবারিক সূত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
6. জেনেটিক্স এবং ইউজেনেটিক্স: মানুষের বংশগতির ধারা আলোচনা-পর্যালোচনা পূর্বক নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রজনন ঘটিয়ে বিদ্যমান মানব গোষ্ঠীর উৎকর্ষ বৃদ্ধি করা সম্ভব। মানবজাতির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির পদ্ধতিকে ইউজেনেটিক্স বলা হয়।
Post a Comment